মহান একুশে ফেব্রুয়ারি: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
বাংলা ভাষা আন্দোলন, ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত বর্তমান বাংলাদেশের পূর্ব বাংলায় এটি একটি সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক আন্দোলন ছিল। এ আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল মৌলিক অধিকার রক্ষার দাবিতে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তান অধিরাজ্যের প্রধান ভাষা হিসেবে স্থানান্তরিত করা। এ আন্দোলনের মাধ্যমে গণদাবি ও বহিঃপ্রকাশ হয়।
একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের
জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়।এটি বিশ্ববাসী মানুষের জন্যে আরও গৌরবের কারণ যে মাতৃভাষা
বাংলা, যেটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাষা গ্রুপের একটি।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় উৎসবের
মধ্যে একটি হলো মাতৃভাষা দিবস। এটি মানুষের সংস্কৃতি এবং ঐতিহাসিক পরিচয়ের গর্বপূর্ণ
অংশ। প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হয়, যা বিভিন্ন
দেশের মানুষের ভাষার প্রচলন এবং সংরক্ষণের দিকে গভীরভাবে বিচার করে।
বাংলাদেশে, এই মহান দিবসটি প্রিয় এবং গর্বের সাথে উদযাপিত হয়। এই দিনটির উদযাপনের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রজাতন্ত্রের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রত্যেকের সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সেমিনার, র্যালী ও আলোচনা, প্রতিযোগিতা ইত্যাদি আয়োজন করা হয়।
মাতৃভাষা দিবস আমাদের একটি
মূল্যবান বার্তা প্রদান করে, যেটি আমাদের মানসিকতাকে আধুনিক জীবনে অগ্রগতির মাধ্যম
হিসেবে কাজ করে। এটি আমাদের আত্মবিশ্বাস ও স্বাধীনতার অনুভূতি উৎপাদন করে।
#মাতৃভাষা_দিবস #একুশে_ফেব্রুয়ারি
#ভাষা_আন্দোলন #বাংলাভাষা #বাংলাদেশ #প্রজাতন্ত্র #সংরক্ষণ #সচেতনতা #আন্দোলন
লেখকঃ হান্নান মোরশেদ
সভাপতি , ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিন সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র, সলিমাবাদ , নাগরপুর, টাঙ্গাইল।
সভাপতি , সলিমাবাদ পশ্চিম পাড়া মাস্টার আব্দুল লতিফ স্মৃতি পাঠাগার, নাগরপুর, টাঙ্গাইল।
সহ-সভাপতি , বাংলাদেশ বেসরকারি গণ-গ্রন্থাগার পরিষদ, টাঙ্গাইল জেলা শাখা, টাঙ্গাইল।